Searching...
Monday, September 01, 2014
21:53

বিজ্ঞানীরা উদ্বিগ্ন:২০৩০ সাল নাগাদকী হবে?

জলবায়ু পরিবর্তন এবং বিশ্ব
উষ্ণায়ন
নিয়ে যে বিজ্ঞানীরা চিন্তিত
– তা নতুন কিছু নয়৷ তবে এবার
জানা গেছে, সাগরের
ভেতরকার সুপ্ত তাপ যখন
বেরিয়ে আসবে তখন সুমেরুর
বরফ আরো গলে যাবে৷ এর
ফলাফল নিয়ে তাই
আরো উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানীরা৷
তাঁরা বলছেন, ২০৩০ সালে সমুদ্রের
তলদেশে ৫,০০০ ফিট গভীরে যে সুপ্ত
তাপ রয়েছে তা আবারো উত্তপ্ত
হয়ে উঠবে এবং নতুনভাবে শুরু হবে
বৈশ্বিক উষ্ণতা,
যা গলিয়ে দেবে সুমেরুর বরফ৷
ফলে সমুদ্র পৃষ্ঠে যখন এই তাপ
উঠে আসবে তখন ভয়াবহ বিপর্যয়ের
মুখে পড়বে বিশ্ববাসী৷
সমুদ্রের গভীরে ৬,৫০০ ফিট
গভীরে থেকে পানি সংগ্রহ করে,
তা পরীক্ষা করে এই
সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন মার্কিন
বিজ্ঞানীরা৷ ১৯৯৯ থেকে সমুদ্র
গর্ভে তাপ
জমা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা৷
বিজ্ঞানী কা-কিট-তুং বলছেন, ''৩০
বছর পর পর এই ধারা পরিবর্তীত হয়,
অর্থাৎ একবার গরম, একবার ঠান্ডা৷
এখন চলছে ঠান্ডা পর্যায়৷ তাই ২০৩০
সালে গরমের
পর্যায়টা কী হবে তা ভেবে দেখবার
বিষয়৷ ''
মানবসৃষ্ট গ্রিন হাউস গ্যাস
নির্গমনের কারণেই প্রশান্ত
মহাসাগরে উষ্ণতা বৃদ্ধি পাবে – এমন
ধারণা পাওয়া গেছে আগের
বিভিন্ন গবেষণায়৷ কিন্তু সাম্প্রতিক
গবেষণা থেকে দেখা যাচ্ছে যে,
প্রশান্ত
মহাসাগরে তাপমাত্রা তুলনামূলক
কমেছে৷ তবে গবেষকরা বলছেন, এই
শীতলতার কারণ
হলো শিল্পকারখানার দূষিত ধোঁয়ার
কারণে সূর্য কিরণ
পৃথিবীতে আসতে বাধা পাচ্ছে৷
অপর এক বিজ্ঞানী জার্নাল নেচার
জিওসায়েন্স এ লিখেছেন,
''আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের
ফলে সৃষ্ট ধোঁয়ার কারণেও সূর্য কিরণ
পৃথিবীতে আসতে বাধা পাচ্ছে৷
ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতার
বদলে দেখা দিচ্ছে শীতল
আবহাওয়া৷ গরম লবণাক্ত পানি যখন
অ্যাটলান্টিক সাগরে এসে পড়ে তখন
সেখানকার ঠান্ডা পানির
সাথে মিশে এটি নিমজ্জিত হয়৷
জাতিসংঘের মতে, এটা ৯৫ ভাগ
নিশ্চিত যে মানুষের আচরণের
কারণে কার্বন নিঃসরণ
তাপামাত্রা বৃদ্ধির প্রধান কারণ৷
১৯৬০ সাল থেকে এ কারণেই দাবদাহ,
ঝড় ও সমুদ্রে পানির উচ্চতা বেড়েই
চলেছে৷
এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি,
রয়টার্স)

0 comments:

Post a Comment

 
Back to top!