বুঝানো হয় ।
2G : এটি দ্বিতীয় প্রজন্মের তার
বিহীন নেটওয়ার্ক । এই
ব্যবস্থাতে ডিজিটাল তারবিহীন
মোবাইল যোগাযোগের ক্ষেত্রে 28.8
Kbps হারে তথ্য আদানপ্রদান
সঙ্ক্রান্ত সেবা দেয়া সম্ভব হয় । ১৯৯১
সালে ফিনল্যান্ডের
রেডিওলিনজা নামক একটি GSM
অপারেটর সর্বপ্রথম
ব্যাবসায়িকভাবে এবং GSM
স্টেন্ডার্ডে 2G তারবিহীন
নেটওয়ার্ক চালু করেছিল । তখনকার
এধরনের অন্যান্য বিদ্যমান
প্রযুক্তি অপেক্ষা 2G তিনটি দিক
দিয়ে এগিয়ে ছিলো ।
এ
বাড়তি সুবিধাগুলো হলো :
2G
প্রযুক্তিতে ফোনে নিরাপদভাবে কথাবার্তা বলার
জন্য সম্পূর্ণরূপে এনক্রিপশনের
ব্যাবস্থা ছিলো ।
তরঙ্গ বর্ণালি ব্যবহারের ক্ষেত্রে 2G
অন্যান্য প্রযুক্তি অপেক্ষা অনেক
বেশি কর্মদক্ষ ছিলো ।
2G এর মাধ্যমে SMS এর মতো বিভিন্ন
রকম তথ্যও প্রেরণ করা যেতো ।
2G চালু হওয়ার পূর্বের বিদ্যমান
মোবাইল টেলিফোন
সিস্টেমকে ইতিহাস হিসেবে 1G
হিসেবে উপাধি দিয়ে দেওয়া হয় ।
1G নেটওয়ার্কে রেডিও সিগনাল
ছিল অ্যানালগ; অন্যদিকে 2G
নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত হয়েছিল
ডিজিটাল পদ্ধতি । তবে তখন উভয়
নেটওয়ার্কই রেডিও টাওয়ারের
সাথে যোগাযোগের
ক্ষেত্রে ডিজিটাল সিগনাল ব্যবহার
করতো ।
3G :
এটি হলো তৃতীয় প্রজন্মের তারবিহীন নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি ।
এই প্রযুক্তিতে ন্যূনতম
500 Kbps থেকে সর্বোচ্চ 3Mbps
হারে তথ্য আদান প্রদান করা সম্ভব
।
এটি আগের
সকল তারবিহীন নেটওয়ার্ক
প্রযুক্তিগুলোর চেয়ে অধিক
গতিসম্পন্ন এবং উন্নত । 3G নেটওয়ার্ক
প্রযুক্তিতে 2G নেটওয়ার্কের
সুবিধাসমূহের পাশাপাশি আরও কিছু
সুবিধা উপভোগ করা যায় । যার
মধ্যে রয়েছে দ্রুত গতির ইন্টারনেট,
ভিডিও কল এবং মোবাইল টিভি ।
3.5G : এই নেটওয়ার্ক প্রযুক্তিতে 3
Mbps থেকে 14 Mbps পর্যন্ত
গতি পাওয়া সম্ভব ।
4G : ২০০৮ সালের মার্চে ITU
(International Telecommunication Union) এর
বেতার যোগাযোগ সেক্টর 4G এর
প্রয়োজনীয় বিষয়বস্তুসমূহের
একটি রূপরেখা প্রবর্তন করে ।
তারা উচ্চ
মোবিলিটি যোগাযোগের জন্য 100
Mbps এবং নিম্ন
মোবিলিটি যোগাযোগের জন্য 1
Gbps গতি প্রণয়ন করে । মোবাইল WiMax
এবং LTE-এর প্রথম অবমুক্তির পর
থেকে যেসব সেবা 1 Gbps এর কম
গতি প্রদান করে, ITU এর
নীতি অনুযায়ী সেগুলোকে 4G
সেবা বলা যাবে না, যদিও
সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সেগুলোকে 4G
সেবা বলেই বাজারজাত করে ।
এককথায়, 2G, 3G, 3.5G, 4G এর মধ্যে মূল
পার্থক্য এদের গতিতে ।

0 comments:
Post a Comment